জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অপরাধের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ও মানবাধিকার সমন্বয়ক হুমা খান রোববার (১৯ জানুয়ারি) সৌজন্য সাক্ষাতে এই সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
পরে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ট্রাইব্যুনালের অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ পরবর্তী ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এই ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত প্রক্রিয়া কেমন আগাচ্ছে? কোনো সমস্যা আমাদের আছে কিনা? তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা বা সমন্বয় দরকার কিনা? এসব বিষয় তারা জানতে চেয়েছেন।
এছাড়া বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে আমরা কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি, কি কি কাজ করছি সেই ব্যাপারে কোনো সহযোগিতার দরকার আছে কিনা? এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনা শেষে তাদের কাছে আমরা অনুরোধ করেছি আমাদের প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থাকে প্রশিক্ষিত করতে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য। তারা যদি এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটা আমাদের জন্য সহায়ক হবে। বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করার জন্য আমরা তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি। ওনারা (জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা) আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এর আগে প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ে আমাদের একটা ট্রেনিং সেশন হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা আরও ট্রেনিংয়ের আয়োজন করবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে, সে আশ্বাস দিয়েছেন। প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।
তারা আমাদের জানিয়েছেন যে, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিচারের ব্যাপারে আকাঙ্ক্ষা আছে, যে অপরাধ এখানে হয়েছে বা যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের বিচার প্রাপ্তির অধিকার আছে। ফলে বিচারটা যাতে ভালোভাবে হয় সেজন্য জাতিসংঘ সমর্থন জানাবেন, যত দ্রুত সম্ভব।