বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন বহালের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের স্বাক্ষরের পর ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৬ মার্চ, হাইকোর্ট এ মামলার বিচারিক রায় অপরিবর্তিত রেখে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাসুদ হাসান চৌধুরী ও আজিজুর রহমান দুলু। এ সময় আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের তালিকা

১. মেহেদী হাসান রাসেল
২. মেহেদী হাসান রবিন
৩. অনিক সরকার অপু
৪. মনিরুজ্জামান মনির
৫. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন
৬. ইফতি মোশাররফ সকাল
৭. মুনতাসির আল জেমি
৮. মোজাহিদুর রহমান
৯. হোসেন মোহাম্মদ তোহা
১০. এহতেশামুল রাব্বি তানিম
১১. শামীম বিল্লাহ
১২. মাজেদুর রহমান মাজেদ
১৩. খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর
১৪. জিসান
১৫. এস এম নাজমুস সাদাত
১৬. মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম
১৭. মিজানুর রহমান
১৮. শামছুল আরেফিন রাফাত
১৯. মুজতবা রাফিদ
২০. এসএম মাহামুদ সেতু

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

১. মুহতাসিম ফুয়াদ
২. ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না
৩. অমিত সাহা
৪. আকাশ হোসেন
৫. মোয়াজ আবু হোরায়রা

মামলার পটভূমি:

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে। পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যে ১৩ নভেম্বর ২০১৯ চার্জশিট জমা দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স ও নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়।