টাকা ফেরত চেয়ে ৬৬ ভোটারের বিরুদ্ধে প্রার্থীর মামলা
সিলেট আদালত

অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম হত্যা মামলায় ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম হত্যা মামলায় তার ছোট ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্নাসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আনসারুজ্জামান ও পেশকার আহমদ আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সিলেট নগরীর মীরবক্সটোলা এলাকার বাসিন্দা ও নিহত অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামের ছোট ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে জাহের আলী এবং ছাতক থানার রাউলি গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আনসার আহমদ।

রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, পৃথক ধারায় তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মামলার অপর আসামি বোরহান উদ্দিনকে ২০১ ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরেক আসামি ইসমাইল হোসেনকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত খালাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুনফেনীর দুই আইনজীবীকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে, রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে সিলেট জেলা মুসলিম লীগের তৎকালীন সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজি এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

নিহতের বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিজের ছোট ভাই মাসুদসহ পাঁচজনের নামোল্লেখ করা হয়। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) খায়রুল ফজল। পরবর্তীতে তদন্তভার র‌্যাব-৯ এর হাতে গেলে এসআই ইদ্রিছ আলী ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (নং-৯১) দাখিল করেন।

তদন্ত চলাকালে আসামি বোরহান উদ্দিন ও আনসার আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

২০১৫ সালের ১৫ মে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠন করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে স্থানান্তরিত হলে দীর্ঘ ১৪ বছর পর এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।