ঢাকার একটি আদালতের বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে এক আসামিকে জামিন করানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী তানজিল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার মো.সোহেল রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৩ মার্চ সাজাপ্রাপ্ত হাজতি আসামী মো. সোহেল রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী আক্তার আলী শেখ অর্থদণ্ডের ৩৫ লাখ টাকা নির্ধারিত বিচার বিভাগীয় কোডে চালানযোগে জমা প্রদানের অনুমতির আবেদন করেন। শুনানি শেষে এই টাকা জমা প্রদান করে চালানের কপি দাখিল করার নির্দেশ দেন। তবে অর্থ জমা দিয়ে চালানের কপি আদালতে দাখিল না করায় আবেদন শুনানীর জন্য নথিভুক্ত রাখা হয়।
পরবর্তীতে আসামীপক্ষ জামিনের কোন আবেদন দাখিল করেননি ও আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. সোহেল রহমানকে কোন জামিন প্রদান করা হয়নি। তবে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে গত ২৫ মার্চ ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মুনির হোসাঈনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন।
ওই জাল আদেশে উল্লেখ করেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামী সোহেল রহমান অর্থদণ্ডের অর্ধেক টাকা জমা দেওয়ার আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয় এবং বিধি মোতাবেক টাকা জমা প্রদান করায় আপীল দায়ের শর্তে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। আসামীর রিলিজ আদেশ, জামিননামা ও আদেশের কপিসহ গাইবান্ধার জেলা কারাগারের জেল সুপার বরাবরে অতিসত্বর প্রেরণ করা হোক।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আসামী সোহেল রহমান হাজতে থাকাবস্থায় সেখান থেকে তার পরামর্শ ও নির্দেশে তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিচারকের সীল ও স্বাক্ষর জাল করেন। তারা ভুয়া (অদ্বিত্ববিহীন) আদেশের কপি সৃজন করেন। বিচারকের নাম-পদবী ব্যবহার করে বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জাল ও ভুয়া আদেশনামা মতে জাল রিলিজ আদেশ ও জাল জামিননামা সৃজন করেন। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজেরাই গাইবান্ধা জেলা কারাগার বরাবরে জাল আদেশনামা ও রিলিজ আদেশ, জামিননামা প্রেরণ করেন।