বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ বিচার বিভাগের জন্য হুমকিস্বরূপ: হাইকোর্ট
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

চেম্বার আদালতের ‘নো অর্ডার’: গ্রেপ্তার অনুমতি ইস্যু নিয়ে শুনানি হবে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে না, হাইকোর্টের এমন আদেশ স্থগিত করেনি চেম্বার আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (৭ মে) চেম্বার জজ মো. রেজাউল হক স্থগিতের আবেদনটিতে ‘নো অর্ডার’ আদেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি আগামী ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এমন আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক।

এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও, অডিও, স্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।

পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন একটি রিট দায়ের করেন।