সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে ‘মেনশন’ এর সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস (যেমন: মোবাইল বা ট্যাব) ব্যবহার করে কজলিস্ট দেখার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে আবেদন করেছেন ২৯ জন আইনজীবী।
এতে তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে প্রকাশিত কজলিস্টের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ফলে বেশিরভাগ সাধারণ আইনজীবী তা সংগ্রহ করতে পারেন না এবং মেনশন করার সময় বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন। কজলিস্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে তারা ডিজিটাল বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।
আবেদনকারীরা জানান, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনেক আইনজীবী এখন প্রিন্টেড কজলিস্টের চেয়ে অনলাইনে কজলিস্ট দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিভিন্ন বেঞ্চে বিচারপতিরা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে শুনানি পরিচালনা করছেন।
এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে আবেদনকারীরা প্রস্তাব করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেকটি বেঞ্চের ডেস্কে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কজলিস্ট যুক্ত করা হলে সাধারণ আইনজীবীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যাবে।
আবেদনে স্বাক্ষর প্রদানকারী আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল আশিক, মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক, মো. নেওয়াজ শরীফ ভূইয়া, মো. তৌহিদ রহমান, মো. জোবায়ের আল মামুন, শেখ মো. শামছুজ্জামান, মো. সোহেবুজ্জামান, রোকনুজ্জামান, মো. ওবাইদ্যুল্লাহ আল মামুন সাকিব, মোহাম্মদ আলী হাসান, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার, সুব্রত মন্ডল, আরফান সুলতানা, সোহেল চৌধুরী, সৈয়দ আকবর হোসেন, সায়কা জাহান সাথী, আবু শাহেদ, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মোঃ ফিরোজ হাওলাদার, মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ আল কাইয়ুম, ফরিদ আহমেদ, মোঃ আল-মামুন, মোঃ মোর্শেদ ইসলাম, মোঃ আরিফ চৌধুরী, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (জিকো), মোঃ মিরাজ আকন এবং আশিক-ই-এলাহী ভূইয়া।
আবেদনকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি এই যৌক্তিক ও সময়োপযোগী আবেদনটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।