সম্প্রতি শোবিজ তারকাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫’ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে অশ্লীলতার অভিযোগ এনে ছয়জন মডেল-অভিনেত্রী ও তিন নির্মাতার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন।
লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্রিকেট ট্রফির বিভিন্ন মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট মডেল-অভিনেত্রীরা সামাজিক শিষ্টাচার ও মূল্যবোধ পরিপন্থী আচরণ করেছেন, যা অশ্লীলতার শামিল। এই অভিযোগে যাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন: মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, শাম্মি ইসলাম নিলা ও আলিশা।
তবে এই লিগ্যাল নোটিশকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী মারিয়া মিম। তিনি সরাসরি অভিযোগ করে বলেন,
“প্র্যাকটিসে আমি কী পরব সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। মাঠে তো আমরা নির্ধারিত জার্সি পরে খেলেছি। তাহলে ব্যক্তিগত সময়ের ছবি বা ভিডিওকে কেন্দ্র করে কেন এত বিতর্ক? এখানে অশ্লীলতার কিছুই নেই।”
তিনি আরও বলেন,
“আইনজীবী ভাইরাল হওয়ার জন্য আমাদের টার্গেট করেছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে পুরোনো ভিডিও ক্লিপগুলো আবার ভাইরাল হয়েছে, যা আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সম্মানহানির কারণ হয়েছে।”
এই ঘটনায় মানহানির অভিযোগ এনে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন মিম। তাঁর ভাষায়,
“আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। তিনি যেভাবে মিডিয়ায় কথা বলেছেন, তাতে মনে হয়েছে যেন আমরা অপরাধ করেছি। অথচ বাস্তবতা একেবারেই আলাদা।”
মিম দাবি করেন, ম্যাচের আগে ওয়ার্ম আপের সময় ধারণ করা কিছু ভিডিও বা ছবিকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। “আমরা খেলার সময় যে পোশাক পরেছি তা নিয়ম অনুযায়ী, মাঠের বাইরের বিষয়গুলো অন্যভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে শেষ হয় ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫’। এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গিগাবাইট টাইটানস। দলে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ, শরিফুল রাজ, মেহজাবীন চৌধুরী, মৌসুমী হামিদ প্রমুখ। দলে মেন্টরের দায়িত্ব পালন করেন নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।