গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার স্বার্থে অধস্তন আদালতের তিন বিচারক সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়া উচ্চ আদালতের ছিলেন ২ জন বিচারপতি। গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আইএসপিআর-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয় নেওয়া তিনজন বিচারকের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহের সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন, যিনি বর্তমানে গাজীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত আছেন; বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কাজী মিজানুর রহমান, যিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন; এবং বগুড়ারই আরেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আল আমিন, যিনি বর্তমানে নাটোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত।
আইএসপিআর জানায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিরাপত্তার খোঁজে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন। এদের মধ্যে ছিলেন একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের একজন সাবেক বিচারপতি, অধস্তন আদালতের তিন বিচারক, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৬২৬ জন ব্যক্তি।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আশ্রয়প্রাপ্তদের মধ্যে উচ্চ আদালতের ২ জন বিচারপতি, অধস্তন আদালতের ৩ জন বিচারক, ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তি, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জন বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং ৫১ জন পরিবার-পরিজন (স্ত্রী ও শিশু) ছিলেন।
আইএসপিআর-এর ভাষ্যমতে, এ উদ্যোগের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল মানবিক বিবেচনায় আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে এসব ব্যক্তিকে নিরাপদে রাখা। সেনাবাহিনী শুধু মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।