পিএসসির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০২৫’-এর কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিতকরণ এবং একই সঙ্গে সেবা কর্মীদের উৎসাহিত করতে সরকার কর্তৃক জারীকৃত ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫’ -এর কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মনিরুজ্জামান লিংকন তার ক্লায়েন্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম-এর পক্ষে আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

রিট আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫’ -এর কয়েকটি মানবাধিকার পরিপন্থি, বৈষম্যমূলক ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ধারার বৈধতা রিট আবেদনে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে এসব ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। শিগগিরই আবেদনটি মহামান্য হাইকোর্টে শুনানি হবে বলেও জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।

এর আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্স কর্মীদের সরাসরি নিয়োগ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিনে উন্নীতকরণ এবং অফিস সহায়ক পদে নীতিমালায় স্পষ্টতা চেয়ে অর্থ ও ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

গত ৫ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মনিরুজ্জামান লিংকন তার ক্লায়েন্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম-এর পক্ষে এই নোটিশ প্রেরণ করেন।

আরও পড়ুনআজহারের ফাঁসির রায় ছিল বিচারের নামে অবিচার : আপিল বিভাগ

নোটিশে বলা হয়, আউটসোর্স কর্মীদের কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলে তারা নিয়মিত হয়রানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন। এছাড়া, তাদের চাকরি নিরাপত্তা থাকে না এবং তারা রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও প্রত্যক্ষ বন্ধনে যুক্ত হতে পারেন না।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের সংশোধিত বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন নির্ধারিত হলেও, আউটসোর্স নারী কর্মচারীরা এখনো মাত্র ৪৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন, যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক আচরণ।

এছাড়া, ২০২৩ সালের আউটসোর্সিং নীতিমালায় “অফিস সহায়ক” পদটি অন্তর্ভুক্ত না করায় এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে দ্রুত এই বিষয়ের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা দাবি করা হয়েছে।

সেদিন আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেছিলেন, “আমার মক্কেল ২০১৫ সাল থেকে ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ নীতিমালায় তার পদটি না থাকায় তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।”

নোটিশপ্রাপকদের সাত (৭) দিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। তবে নোটিশ প্রাপ্তির পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়েছে।