সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
২০০৭ সালে রাজধানীর কাফরুল থানায় দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) এ মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান এবং তার মাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে দুটি ধারায় মোট ৯ বছর কারাদণ্ড ও ৩ কোটি টাকা জরিমানা, এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
তবে জুবাইদা রহমান রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এবং তারেক রহমানও সেই আপিলের সঙ্গে খালাস চেয়ে যুক্ত হন। হাইকোর্ট আজ রায়ে উভয়কে অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
আরও পড়ুন : হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুদক মামলাটি দায়ের করে। এরপর বিচার শেষে ২০২৩ সালে রায় ঘোষণা করা হয়। মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
গত ১৩ মে হাইকোর্ট জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করে আপিল গ্রহণ করেন। পরদিন ১৪ মে তাকে জামিন দেন আদালত এবং শুনানির দিন ধার্য করেন। অবশেষে ২৬ মে শুনানি শেষ হলে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতে জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঞা প্রমুখ। তাদের সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন, মাকসুদ উল্লাহ, আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, আজমল হোসেন খোকন, এস এম মাহিদুল ইসলাম সজিব। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।
এই রায়ের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলমান সব মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলো বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।