দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত জারি করা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ ও বিচারক নিয়োগে জারীকৃত গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ সাঈদ খান বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন।
রিটে আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী এম এ সাঈদ খান জানান, “সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫” সংবিধানের ২৭, ৩১, ৪৪, ৯৫ ও ১১০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই পুরো অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি। একই সঙ্গে গত বুধবার (২৭ মে) হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত রাখারও আবেদন জানানো হয়েছে।
রিটে আরও উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানকে আইনজীবীদের প্রতিনিধি হিসেবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, “সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫” অনুযায়ী গত ২৭ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগে আগ্রহীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উক্ত অধ্যাদেশের ধারা ৭ অনুযায়ী, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ে বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং অনেক আগ্রহী প্রার্থী নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত দাখিল করেছেন। এ প্রেক্ষিতে, কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুনরায় দরখাস্ত আহ্বান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”