আসন্ন ঈদুল আযহা, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৮টি অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জারীকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। অবকাশকালীন বেঞ্চ বেঞ্চ গঠন সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য মতে, আগামী ০৩ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এসব বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
বিভিন্ন এখতিয়ারসম্পন্ন অবকাশকালীন বেঞ্চসমূহ নিম্নরূপ –
বিচারপতি মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, কাস্টমস, ইনকামট্যাক্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থঋণ আইন সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ অতীব জরুরী সকল প্রকার রীট মোশন ও তৎসংক্রান্ত শুনানী; ২০০৯ ইং সনের ট্রেডমার্ক আইনের অধীনে আপীল; ১৯১১ ইং সনের পেটেন্ট ও ডিজাইন আইনের ৫১(ক) এবং ২৬(খ), (গ), (ঘ) ও (ঙ) ধারামতে আবেদনপত্র ও আপীল; মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ১২৪ ধারা মোতাবেক রিভিশন/আপীলসহ মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১-এর ধারা ৪২(১)(গ) ক্ষমতাবলে এ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল; আয়কর রেফারেন্স মোকদ্দমা ও আয়কর সংক্রান্ত রীট; কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯-এর ধারা ১৯৬ডি অনুযায়ী আপীল শুনানী; শুনানীর জন্য হাইকোর্ট বিভাগ ও এর অধীনস্থ আদালতসমূহের অবমাননার অভিযোগপত্রসমূহ গ্রহণ করবেন; যে সব বিষয় এই বেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল, আবেদনপত্র গ্রহণ ও শুনানী করবেন।
বিচারপতি রাজিক আল জলিল এবং বিচারপতি সাথীকা হোসেন একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, কাস্টমস, ইনকামট্যাক্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থঋণ আইন সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ অতীব জরুরী সকল প্রকার রীট মোশন ও তৎসংক্রান্ত শুনানী; ২০০৯ ইং সনের ট্রেডমার্ক আইনের অধীনে আপীল; ১৯১১ ইং সনের পেটেন্ট ও ডিজাইন আইনের ৫১(ক) এবং ২৬(খ), (গ), (ঘ) ও (ঙ) ধারামতে আবেদনপত্র ও আপীল; মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ১২৪ ধারা মোতাবেক রিভিশন/আপীলসহ মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১-এর ধারা ৪২(১)(গ) ক্ষমতাবলে এ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল; আয়কর রেফারেন্স মোকদ্দমা ও আয়কর সংক্রান্ত রীট; কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯-এর ধারা ১৯৬ডি অনুযায়ী আপীল শুনানী; শুনানীর জন্য হাইকোর্ট বিভাগ ও এর অধীনস্থ আদালতসমূহের অবমাননার অভিযোগপত্রসমূহ গ্রহণ করবেন; যে সব বিষয় এই বেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল, আবেদনপত্র গ্রহণ ও শুনানী করবেন।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এবং বিচারপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন খান একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য অতীব জরুরী দেওয়ানী মোশন; শুনানীর জন্য প্রথম আপীল, প্রথম আপীল (প্রবেট). প্রথম বিবিধ আপীল, প্রথম বিবিধ আপীল (প্রবেট); ৬,০০,০০,০০০ টাকার উর্ধ্বমানের প্রথম বিবিধ আপীল; ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য দেওয়নী রুল ও রিভিশন মোকদ্দমা; হাইকোর্ট রুলস-এর ৯ অধ্যায়ের ৩৪ রুল অনুযায়ী শুনানীর জন্য এবং ৬,০০,০০,০০০ টাকার ঊর্ধ্বমানের আপীল; ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য দেওয়ানী রুল, দেওয়ানী রিভিশন মোকদ্দমা ও তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র হতে উদ্ভুত সকল লয়াজিমা বিষয়; ২০০১ ইং সনের ১নং আইনের (শালিশী আইন, ২০০১) ৪৮(ক), (খ) এবং (গ) ধারা মোতাবেক আপীল; দেউলিয়া বিষয়ক আপীল; ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা (বিশেষ দায়িত্ব) অধ্যাদেশ, ১৯৯১ইং (অধ্যাদেশ নং ৬, ১৯৯১) এর অধীন আপীল; বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ৪৬নং আদেশ) এর অধীনে অনুচ্ছেদ ৩৬ মোতাবেক আপীল; দ্বৈত বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৪১ অর্ডারের ১১ রুল অনুযায়ী আপীলসমূহ: দ্বৈত বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য দ্বিতীয় আপীল; যে সব বিষয় এই বেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল, আবেদনপত্র গ্রহণ ও শুনানী করবেন ৷
উল্লেখ্য যে, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিঃ তারিখের পূর্বে দায়েরকৃত, স্থানান্তরিত বা চলমান সকল প্রকার দেওয়ানী মোকদ্দমা বা কার্যধারা অত্র বেঞ্চেই শুনানী ও নিষ্পত্তি হইবে ।
বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইন সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য অতীব জরুরী ফৌজদারী মোশন; ফৌজদারী আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র এবং তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ফৌজদারী মঞ্জুরীকৃত আপীল ও তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ফৌজদারী মঞ্জুরীকৃত আপীল ও সকল জেল আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র ও শুনানী; ফৌজদারী রিভিশন এবং ফৌজদারী বিবিধ মোকদ্দমাসমূহ; যে সব বিষয় এই বেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল, আবেদনপত্র গ্রহণ এবং শুনানী করবেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ আলী এবং বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইন সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য অতীব জরুরী ফৌজদারী মোশন; ফৌজদারী আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র এবং তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ফৌজদারী মঞ্জুরীকৃত আপীল ও তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ফৌজদারী মঞ্জুরীকৃত আপীল ও সকল জেল আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র ও শুনানী; ফৌজদারী রিভিশন এবং ফৌজদারী বিবিধ মোকদ্দমাসমূহ; যে সব বিষয় এই
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ বেঞ্চে স্থানান্তরিত হইবে এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল, আবেদনপত্র গ্রহণ এবং শুনানী করবেন ৷
বিচারপতি আহমেদ সোহেল একক বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য অতীব জরুরী আদিম অধিক্ষেত্রাধীন বিষয়; সাকসেশন আইন, ১৯২৫ অনুযায়ী ইচ্ছাপত্র ও ইচ্ছাপত্র ব্যতিরেকে মৃত ব্যক্তির বিষয়বস্তুর অধিক্ষেত্র; বিবাহ বিচ্ছেদ আইন, ১৮৬৯ অনুযায়ী মোকদ্দমা; প্রাইজ কোর্ট বিষয়সহ এ্যাডমিরেলটি কোর্ট আইন, ২০০০ অধিক্ষেত্রাধীন মোকদ্দমা; মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩ এর অধীনে আবেদনপত্র; ২০০৯ ইং সনের ট্রেডমার্ক আইনের অধীন আবেদনপত্র; ১৯১৩ ও ১৯৯৪ ইং সনের কোম্পানী আইন অনুযায়ী আবেদনপত্র; ব্যাংক কোম্পনী আইন, ১৯৯১ ইং (১৯৯১ইং সনের ১৪ নং আইন) অনুযায়ী আবেদনপত্র; সালিশ আইন, ২০০১ (২০০১ইং সনের ১নং আইন) অনুযায়ী আপীল ও আবেদনপত্র; বীমা আইন, ২০১০ইং অনুযায়ী আপীল ও তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র; যে সব বিষয় এই বেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল ও আবেদনপত্র গ্রহণ ও শুনানী করবেন ।
বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার একক বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য সহকারী জজ ব্যতীত অন্য বিচারকের আদেশ ও ডিক্রির বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব ৬,০০,০০,০০০ টাকা মানের এবং সহকারী জজের মান নিরপেক্ষ আদেশ ও ডিক্রির বিরুদ্ধে অতীব জরুরী দেওয়ানী মোশন; দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৪১ অর্ডারের ১১ রুল অনুযায়ী শুনানীর জন্য অনূর্ধ্ব ৬,০০,০০,০০০ টাকা মানের আপীল; সহকারী জজ ব্যতীত অন্য বিচারকের আদেশ ও ডিক্রির বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব ৬,০০,০০,০০০ টাকা মানের এবং সহকারী জজের মান নিরপেক্ষ আদেশ ও ডিক্রির বিরুদ্ধে দেওয়ানী রুল ও দেওয়ানী রিভিশন মোকদ্দমা; অনূর্ধ্ব ৬,০০,০০,০০০ টাকা মানের আবেদনপত্র এবং একক বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য সকল লয়াজিমা বিষয় ও অনূর্ধ্ব ৬,০০,০০,০০০ টাকা মানের প্রথম বিবিধ আপীল, প্রথম বিবিধ আপীল (প্রবেট); একক বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য দ্বিতীয় আপীল; ২০০১ ইং সনের গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ দ্বারা সংশোধিত ১৯৭২ ইং সনের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ মোতাবেক “নির্বাচনী” আবেদনপত্র গ্রহণ ও শুনানী করবেন ।
উল্লেখ্য যে, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিঃ তারিখের পূর্বে দায়েরকৃত, স্থানান্তরিত বা চলমান সকল প্রকার দেওয়ানী মোকদ্দমা বা কার্যধারা অত্র বেঞ্চেই শুনানী ও নিষ্পত্তি হইবে ।
বিচারপতি নাসরিন আক্তার একক বেঞ্চে বসবেন এবং শুনানীর জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইন সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ একক বেঞ্চে গ্রহনযোগ্য অতীব জরুরী সকল প্রকার ফৌজদারী মোশন; ফৌজদারী মঞ্জুরীকৃত আপীল ও তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ফৌজদারী আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র এবং তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ফৌজদারী রিভিশন এবং রেফারেন্স মোকদ্দমা; যে সব বিষয় এই বেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল, আবেদনপত্র গ্রহণ ও শুনানী করবেন ।