দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বড় করিমপুর দর্গাডাঙ্গা কবরস্থান রক্ষায় বড় করিমপুর ও জোতরঘু গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে মানববন্ধন করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বড় করিমপুর এলাকায় আয়োজিত এই মানববন্ধনে নারী–পুরুষসহ শত শত গ্রামবাসী অংশ নেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ—কবরস্থানের একটি অংশ দখল করতে দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি জাল কাগজপত্র তৈরি করে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ওই ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে একটি রায় আদায় করা হয়েছে, যা তারা “ভুয়া রায়” হিসেবে দাবি করছেন। সেই রায়কে হাতিয়ার বানিয়ে এখন কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা আরও বেড়েছে।
গ্রামবাসীরা বলেন, অনাদিকাল ধরে ব্যবহৃত এই কবরস্থানকে কেন্দ্র করে আদালত যে রায় দিয়েছে, তা তাদের মতে অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত। তারা মনে করেন, বিষয়টি আদালত যথাযথভাবে আমলে না নেওয়ায় ধর্মীয় অনুভূতি, স্থানীয় ঐতিহ্য ও মৃতদের প্রতি সম্মান অবমানিত হয়েছে। রায়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কবরস্থান দখলের চেষ্টা “মৃতদের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননা”। এমন পবিত্র স্থানে জালিয়াতি বা দখলদারত্বের মতো কাজ মেনে নেওয়া যায় না। তারা সতর্ক করে বলেন, কবরস্থান রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব–পদস্খলন বা অনিয়ম সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা।
স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন—দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত এই কবরস্থান এলাকার মানুষের ধর্মীয় চর্চা, স্মৃতি, অনুভূতি ও পরিচয়ের অংশ। তাই দখলচেষ্টা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনের আয়োজকরা “মৃতদের সম্মান রক্ষা কর, কবরস্থান দখলকারীর প্রচেষ্টাকে প্রতিহত কর”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন। এলাকাবাসী প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলেন, দখলচেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন পবিত্র স্থানের প্রতি হাত বাড়ানোর সাহস না পায়।

