বরগুনার আমতলী উপজেলায় সরেজমিনে সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে বেদখল হওয়া একটি দোকান উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দোকান বেদখলের অভিযোগে হযরত আলী মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আমতলী উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
ঘটনাটি ঘটে ২ ডিসেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে, কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কৃষ্ণনগর গ্রামে। আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান সরেজমিনে গিয়ে সামারি ট্রায়াল পরিচালনা করেন এবং পুলিশের সহায়তায় বেদখল হওয়া দোকানটি অভিযোগকারী পারভীন বেগমের কাছে ফিরিয়ে দেন।
আদালতের বেঞ্চসহকারী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, অভিযোগকারী পারভীন বেগম ১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩–এর অধীনে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ম্যাজিস্ট্রেট পরদিন ঘটনাস্থলে সংক্ষিপ্ত বিচারের দিন ধার্য করেন।
সামারি ট্রায়ালে প্রত্যক্ষদর্শী সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আসামী হযরত আলী মোল্লার সাক্ষ্যও শোনা হয়। নিজের সাক্ষ্যে তিনি স্বীকার করেন—অভিযোগকারীকে দোকান থেকে বেদখল করার জন্য তিনি কৌশলে দোকান ভাড়া নেওয়ার কথা বলে দোকানে প্রবেশ করেন এবং পরে সেটি নিজের দখলে নেন।
সকল সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামীকে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩-এর ৭ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে আইনটির ২০ ধারা এবং দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর, ১৮৯৮-এর ৫২২ ধারার বিধান অনুযায়ী বেদখল হওয়া দোকানের মালামাল সরিয়ে অভিযোগকারী পারভীন বেগমের কাছে দোকানের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

