সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ডিজিটালাইজেশনে সরকারকে হাইকোর্টের নির্দেশ

বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ডিজিটালাইজেশন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সব নাগরিক যেন এই ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা ভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্ত দেশের পরিবারের নিরাপত্তা, নারীর সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, আইনগত স্বচ্ছতা এবং সবচেয়ে বড় বিষয়— বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত প্রতারণা বন্ধে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিবন্ধন চালু হলে গোপন বিয়ে, একাধিক বিবাহ লুকানো, পূর্ববর্তী তথ্য গোপন, তালাক প্রমাণের জটিলতা— এসব সমস্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে এবং নাগরিকদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষা, সুবিচার প্রতিষ্ঠা ও সমাজে পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্গঠনের পথ আরও সুদৃঢ় হবে।

এর আগে ২০ নভেম্বর বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ডিজিটালাইজেশন করার বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

২০২১ সালের ৪ মার্চ ভুক্তভোগী চারজনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ সংক্রান্ত রিট দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, প্রতারণা ঠেকানো ও পারিবারিক সম্মান রক্ষায় বিয়ে ও তালাকের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা জরুরি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২২ মার্চ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে বিয়ে ও তালাকের ঘটনা ডিজিটালভাবে নিবন্ধনের জন্য কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট কেন তৈরি করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।