প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বিদেশি কোম্পানি এদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করুক সেটা আমরাও চাই। কিন্তু তাদের ব্যবসা করতে হলে এদেশের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীনফোনের (জিপি) কাছে বিটিআরসির পাওনা সাড়ে ১২ হাজার টাকার মামলার শুনানিকালে তিনি এ কথা বলেন।
একইসঙ্গে আদালতের বেধে দেওয়া দুই হাজার কোটি টাকার মধ্যে বাকি এক হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে দিতে জিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে আপিল বিভাগের নির্দেশে রবিবার বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করে জিপি।
গত ২৪ নভেম্বর আপিল বিভাগ জিপিকে দুই হাজার দিতে তিন মাস সময় বেধে দিয়েছিলো আপিল বিভাগ। কিন্তু টাকা না দিয়ে ওই আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে জিপি। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ এক হাজার কোটি টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়ে সোমবার রিভিউ শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন।
সোমবার সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে শুরু হয় এ মামলার শুনানি। শুরুতে আদালতের নির্দেশে হাজার কোটি টাকা প্রদানের বিষয়টি হলফনামা আকারে আপিল বিভাগকে অবহিত করেন জিপির কৌসুলি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, বাকি টাকা কবে দিবেন? আইনজীবী বলেন, ছয় মাস সময় দিন। ৫টি কিস্তিতে ১৪০ কোটি টাকা দিতে রবিকে সময় দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, তিন মাসের মধ্যে বাকি টাকা দিয়ে দিন। আমরা বিটিআরসিকে বলে দিব আপনাদের ব্যবসা করতে দিতে। যাতে কোন ঝামেলা না করে।
আইনজীবী আবারও বলেন, ৬ মাস না হলে ৫ মাস সময় দিন। প্রধান বিচারপতি বলেন, সময় বাড়ানো হবে না। যদি এই সময়ের মধ্যে টাকা না দেন তাহলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তখন টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমান কিস্তির বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান জিপির আইনজীবীরা।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, খোন্দকার রেজা ই রাকিব ও খোন্দকার রেজা ই রাব্বি ও জিপির পক্ষে মেহেদী হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।