দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং বন্ধে দুই মাসের মধ্যে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ কমিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং বন্ধে সার্বক্ষণিক প্রহরী নিয়োগ করবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) লিখিত এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
রিটকারী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান লিখিত আদেশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সব সময় শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য প্রস্তুত থাকবে। এ কমিটি র্যাগিংয়ের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
অপরদিকে, অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে মনিটরিং করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং বন্ধে সার্বক্ষণিক প্রহরী নিয়োগ করবে। কমিটিতে অবশ্যই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি রাখতে হবে।
অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড গঠন করে আগামী ৫ এপ্রিলের আগেই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ৫ এপ্রিল এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে লিখিত আদেশে বলা হয়েছে।
গত ১২ জানুয়ারি র্যাগিং বন্ধে দুই মাসের মধ্যে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড গঠনের আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে র্যাগিং থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এর আগে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী ইশরাত হাসান আরও বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণরা সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের শিকার হন। সিনিয়ররা নতুনদের কান ধরে ওঠাবসা করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে চুবানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়ানো, সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া, গাছে ওঠানো, ভবনের কার্নিশ দিয়ে হাঁটানো, এমনকি দিগম্বর পর্যন্ত করে।’