বলিউডের রাস্তায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে হাঁটছেন কারিনা কাপুর খান। রণধীর কাপুর ও ববিতার ছোট মেয়ে কারিনার বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল যুদ্ধের ছবি রিফিউজি দিয়ে। এরপর ঐতিহাসিক অশোকা আর করণ জোহর পরিচালিত কাভি খুশি কাভি গম–এর ‘পু’ চরিত্রের পর আর একবারও পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তড়তড় করে মই বেয়ে এগিয়েছেন। আর এর ২০ বছর পরেও ৩৯ বছর বয়সী কারিনা এখন বলিউডের সবচেয়ে অর্থ উপার্জনকারী, ব্যস্ত ও আইকনিক অভিনয়শিল্পীদের একজন।
অথচ কারিনা আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন। যদিও পড়াশোনা মোটেও ভালো লাগত না তাঁর। প্রায়ই বড় বোন কারিশমা কাপুরের সেটে গিয়ে বসে থাকতেন। এর মধ্যেও একবার কারিনার মনে হয়েছিল, কাপুর খানদানের অন্যরা যা করছে, তিনি তা করবেন না। কাপুরেরা যখন কেউ কেউ বলিউডের পাট চুকিয়েছেন, কেউ বলিউডে রাজত্ব করছেন আর বাকিদের চোখ বলিউডে; তখন কারিনা ভেবেছিলেন, তিনি অন্য কিছু করবেন। সেই ‘অন্য কিছু’ ফ্যাশন ডিজাইনিংও না। আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন কারিনা। তারপর আইন পড়তে গিয়ে সারি সারি বই দেখে বুঝলেন, এ তাঁর কর্ম নয়। ১৯ বছর বয়সে আইনের বই–খাতা শিকেয় তুলে সোজা চলে এসেছেন ছবির সেটে।
বলিউডের খানদের সঙ্গে কারিনার দারুণ বনে। ছোটবেলায় কারিনার স্বপ্ন ছিল সালমান খানের সঙ্গে ছবি করার। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন কারিনা। সালমানের সঙ্গে বডিগার্ড, বাজরাঙ্গি ভাইজান–র মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। তিন খানের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। ক্যারিয়ার গড়েছেন শাহরুখের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে। আমির খানের সঙ্গে অভিনয় করে উপহার দিয়েছেন থ্রি ইডিয়টস আর তালাশ। ইরফান খানের সর্বশেষ ছবিতেও পুলিশ হয়ে উপস্থিত ছিলেন কারিনা। আর সামনে আবার আমির খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে মুক্তি পাবে হলিউডের আইকনিক ছবি ফরেস্ট গাম্প–এর হিন্দি সংস্করণ লাল সিং চাডঢা। অন্যদিকে সাইফ আলী খান তো তাঁর জীবনের সঙ্গী। তাঁর সঙ্গেও রয়েছে ওমকারার মতো প্রশংসিত ছবি। সুত্র: প্রথম আলো