মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালটা ভালো যায়নি কোথাও। এ বছর কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। মহামারির ওই সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ১১৫ জনের মতো সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে বার্ধক্যজনিত কারণ ছাড়াও স্ট্রোক, করোনায় আক্রান্ত এবং নানা ধরনের অসুস্থতায় এসব আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে।
মূলত ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। পরে বাংলাদেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শতাধিক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার রফিক উল হক। রয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জানুয়ারিতে মৃত্যুবরণ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, আইনজীবী আহমেদ আলী, সাবেক এমপি ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী ও আলী হোসেন।
ফেব্রুয়ারিতে সিনিয়র আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম, সাবেক এমপি মো. রহমত আলী, আবুল কালাম মো. শহিদুল্লাহ, মো. আমিরুল ইসলাম ও গোলাম মোর্শেদ ইন্তেকাল করেন।
দেশে করোনা শুরুর মাস অর্থাৎ মার্চে বিদায় নিয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল, বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী মো. সানা উল্লা মিয়া, দেলোয়ার হোসেন সরকার, মো. আব্দুর রহিম খান ও সৈয়দ আব্দুস সালাম।
এপ্রিলে মৃত্যুবরণ করেন জিয়াউর রহমান, মুজিবুর রহমান মিয়া, সেখ মনিরুজ্জামান ও মো. ফারুক আহমেদ সিদ্দিক।
মে মাসে মমতাজ বেগম, এ বি এম বদরুদদৌলাহ, মো. আবদুল ওয়াদুদ, শাহ আলম সরকার, সঞ্চিতা সাহা, সহিদ উল্লাহ শেখ, সাবেক এমপি হাজি মকবুল হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, মো. ফজুলল করিম, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. আব্দুস সাত্তার, এ এইচ আব্দুর রহমান চৌধুরী ও এস এম জাহিদুর রহমান।
জুন মাসে এম এ কে গোলাম মহিউদ্দিন, এম বি তাজ মোহাম্মদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল লতিফ পালোয়ান, মো. রেজাউল করিম হেলাল, আব্দুল মান্নান, মো. ওসমান গনি, মো. ইদ্রিসুর রহমান, মতিউর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, একরামুজ্জামান, হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া (আইডি নম্বর- ১৭০১), সায়েদুল হক, লিয়াকত আলী, হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া (আইডি নম্বর- ৩৪৫৫) এবং আবু জাফর মো. মহিউদ্দিন মারা গেছেন।
জুলাই মাসে এ ওয়াই এম নাজিমুল আলম, সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, এস এম ইমদাদুর রহমান, সৈয়দ মতিউল ইসলাম, মো. একরামুল হক, মো. আবুল হারুন, দেওয়ান শরিফ উদ্দিন, মো. আলী হোসেন সোহেল, ড. মো. এনামুল হক, মো. ইকবাল হোসেন, আজিজুর রহমান, খালেদা সরকার ও মো. ওয়াজিদুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন।
আগস্ট মাসে এস এম নুরুল হক, এম এ মান্নান, নেয়ামত উল্লাহ, আব্দুল লতিফ মিয়া, মো. আব্দুল মজিদ, এম এ খালেক, কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য এটিএম আলমগীর, মো. হাবিবুর রহমান শওকত, আহমদ হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কে এস নবীর কনিষ্ঠ ছেলে কাজী সিরাতুন নবী, মো. মীর হোসেন, মো. শরীফ হোসেন এবং মো. ময়েজ উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন।
সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, মনসুর হোসেন, মো. মিজানুর রহমান মোল্লা, মো. আব্দুল হালিম, আবুল কালাম মাইনুদ্দিন, মো. নুরুল হোসেন, এ কে এম সালাউদ্দিন কবির, মো. মতিউর রহমান, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, স্নেহাশীষ সমাদ্দার, আসিফ ইমতিয়াজ খান ও মো. আফতাব আলী ইন্তেকাল করেন।
অক্টোবর মাসে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক-উল হক, আনসার আলী শেখ, মো. আব্দুর রেজ্জাক মিয়া, কাজী সাজাওয়ার হোসেন, মো. আনিসুজ্জামান, এ কে এম খালেক, নেওয়াজ ফরাজি, রফিকুল ইসলাম খন্দকার, আসিফ আহমেদ মুরাদ, কাজী রকিবুল ইসলাম, মো. আয়াত আলী পাটোয়ারী, মো. আবদুস সহিদ চৌধুরী, ফকির দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, নাজমুল হক শাহ চৌধুরী, মো. মুজিবুল হক মুন্সি ও মো. হাফিজ-উর রহমান ইন্তেকাল করেন।
নভেম্বর মাসে মো. এনামুল হক খান, খালেদা পান্না, এনায়েত হোসেন খান, মো. জাহিদ হোসেন, কর্নেল (অব.) শওকত আলী, মো. মনিরুল ইসলাম, আবদুল কাইয়ুম, মো. নাজমুল হক, মো. সোলাইমান হোসেন ইন্তেকাল করেন।
বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে মারা যান সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবু সাইদ আহমেদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আব্দুল আউয়াল মিয়া ও মো. ওসমান গনি।