প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ কর্ম দিবসে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আওয়ামীপন্থী অংশের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা বর্জন করেছেন আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী অংশ।
আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় আপীল বিভাগের এজলাসে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপীল ও হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতি এবং বিপুল সংখ্যক আইনজীবীর উপস্থিত ছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাওয়ার কথা প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের। সে অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ ডিসেম্বর তাঁর শেষ কর্ম দিবস। কিন্তু সে সময় কোর্টের অবকাশ থাকায় আজ প্রধান বিচারপতির শেষ কর্ম দিবসে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এদিকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা বর্জন করেছেন আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী অংশ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী অংশ থেকে নির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার কাজল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির বিদায় সংবর্ধনার বিষয়ে কোর্ট প্রশাসন অন্তত ৩-৪ দিন আগে সমিতিকে অবহিত করেন।
সমিতির সম্পাদক অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রসাশন সমিতিকে প্রধান বিচারপতির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়টি অবহিত করেননি। যা সমিতির সকল সদস্যের জন্য চরম অবজ্ঞার শামিল।
উল্লেখ্য, দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) পদত্যাগ করার ৮৫ দিনের মাথায় ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরের দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রীতি অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।