নিকাহ্ রেজিস্টার (কাজী) পদে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যমূলক নিয়োগের বিধান কেন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস. এম. মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই রুল জারি করেন।
এদিন মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে মৃত অথবা অবসরপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পুত্রসন্তানকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিধানের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালত উল্লিখিত বিধানকে কেন মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইনের সাথে সাংঘর্ষিক ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবেনা -মর্মে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জারিকৃত রুলের কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৯ এর উপবিধি ৬ (ক) তে উল্লেখ রয়েছে:
“যদি কোন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার কোন নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের মৃত্যু বা অবসরজনিত কারণে লাইসেন্সের কার্যকরতার অবসান ঘটে তাহা হইলে উপ-বিধি (৪) এর অধীন নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রার্থী বাছাইএবং উপ-বিধি (৬) এর অধীন লাইসেন্স মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের পুত্র সন্তানকে, বিধি ৮ এর অধীন যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে, অগ্রাধিকার প্রদান করিতে হইবে।”
ছয়টি মানবাধিকার সংস্থা যথাক্রমে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), আওয়াজ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ফাউন্ডেশন অব ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড) এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে এই রিট মামলা (১৬৪১/২০২২) দায়ের করে।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জেড. আই. খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তাদের সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট শারমিন আক্তার ও অ্যাডভোকেট শাহীনুজ্জামান। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।