বন্ধুত্বের সীমারেখা নেই। বন্ধুরা আড্ডা দিবে, সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই তো নিয়ম। বন্ধুর বিপদে বন্ধু এগিয়ে যাবে, এটা বন্ধুত্বের অধিকার। আইনজীবীদের আইনজীবী ছাড়া কোনো বন্ধু হয়না।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ল’ইয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ল্যাব) আয়োজিত আইনজীবীদের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা একজন আরেক জনের ভাই না, আমরা একজন আরেক জনের বন্ধু। বন্ধুত্ব হচ্ছে দেওয়ার বিষয়, বন্ধুত্বের বন্ধন অতুলনীয়। ভাই বন্ধু হতে পারে কিন্তু আইনজীবীরা একজনের আরেক জনের কেবল বন্ধু।
তিনি বলেন, আমরা যে পেশায় আছি, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক জীবন। পেশাগত কারণে সকালে আমরা যখন ঘর থেকে বের হই দেখি সন্তানেরা ঘুমিয়ে থাকে। আবার রাতে যখন ঘরে ফিরি তখনও সন্তানেরা ঘুমিয়ে যায়। পরিবারের সাথে খুব একটা কথা বলারও ফুসরত হয়না।
অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন, তবে প্রতিদিন এক আইনজীবীর সাথে ঠিকই অন্য আইনজীবীর দেখা হয়, কথা হয়। কি অমানুষিক পরিশ্রম আমরা করি! কোর্টকে এসিস্ট করি আমরা। কিন্তু আমরা যাদের জন্য কাজ করি অর্থাৎ যাদেরকে ক্লাইন্ট বলি বা বিচারপ্রার্থী যারা আছেন আমাদের সম্পর্কে তাদের ধারণা কি?
তিনি আরো বলেন, আমি বলবনা সবাই এক তবে বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই আছেন মামলা জিতে গেলে যারা ভাবেন, আরেহ আমি টাকা দিয়েছি উকিল কাজ করে দিয়েছেন, প্রশংসা নেই! আর যদি হেরে যাই, এতো পরিশ্রম করলাম, খাটা-খাটনি হলো কোন তোয়াক্কা নেই, বরং বলে বসেন এই লোক উকিলই না!
মোমতাজ উদ্দিন বলেন, কিন্তু আমরা যারা আইনজীবী বন্ধুরা আছি, কোর্টে যখন দাঁড়াই গাউন গায়ে দিয়ে মামলা জেতার জন্য কত যুক্তিতর্ক কত কথা! অথচ মামলার কাজ শেষে গাউন খুলে আবার সেই কোলাকুলি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা। এটাই প্রকৃত বন্ধুত্ব, এটা আর কোথাও পাবেন না।
সংগঠনটির সভাপতি কাজী ওয়ালী উদ্দিন ফয়সলের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য সাঈদ আহমেদ রাজা প্রমুখ।