আদালত অবমাননার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৫ লাখ ৫১ হাজার ২০২ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় একজন নারী কর্মচারীকে হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে এ জরিমানা করা হয়।
এর আগে বিচারক আর্থার এফ এনগোরন ট্রাম্পকে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন যে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। পুনরায় আদেশ অমান্য করলে তাকে কারাদণ্ডও ভোগ করতে হতে পারে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যালিস গ্রিনফিল্ড নামে বিচার বিভাগীয় একজন কর্মচারীকে হেনস্থা করে একটি পোস্টার প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এতে গ্রিনফিল্ডের সঙ্গে চাক শু’কে জড়ানো হয়।
ট্রাম্প দাবি করেন, চাক শু’র সঙ্গে ‘অবৈধ সম্পর্ক’ রয়েছে গ্রিনফিল্ডের। আপত্তিকর এই পোস্টার প্রকাশের পর বিচারক এনগোরোন তাকে কঠোরভাবে ভর্ৎসনা করেছিলেন এবং পোস্টটি সরিয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের সেই পোস্টার প্রকাশের পর শু’র একজন মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি একই সঙ্গে ‘হাস্যকর, অযৌক্তিক এবং মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রাণোদিত’।
বিচারক এনগোরোনের আদেশে গত ৩ অক্টোবর পোস্টটি ট্রাম্পের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তার প্রচারণামূলক ওয়েবসাইট থেকে পোস্টটি সরাতে গড়িমসি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সময় রাত ১০টার দিকে সেই পোস্ট ওয়েবসাইট থেকেও সরিয়ে নেন ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা।
পোস্টটি সম্পর্কে শুক্রবার আদালতে ট্রাম্পের আইনজীবী ক্রিস্টোফার এম. কিস বলেন, পোস্টটি ‘অনিচ্ছাকৃত’। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
এ কারণে এদিন এক নতুন আদেশে বিচারক এনগোরন জানান, ‘আদালত থেকে বারবার ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননার জন্য কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন তিনি। অনিচ্ছাকৃত এই পোস্টের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় একজন নারী কর্মচারীকে হেনস্থার অভিযোগে ট্রাম্পকে ৫ লাখ ৫১ হাজার ২০২ টাকা জরিমানা করা হলো।’