মৌলভীবাজারে পাহাড় কাটার অভিযোগে অপরাধীদের দণ্ড আপিলের পর ১৩ লাখ ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করার নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট।
ওই অর্থদণ্ড কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহাবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল ও নাসরিন সুলতান। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় জয়চণ্ডী ইউনিয়নের মলাঙ্গী টিলা কাটা বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালত রুল জারি করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্তদের ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই জরিমানার আদেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা সচিবালয়ে পরিবেশ আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের করেন।
আপিল শুনানি শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আপিল কর্তৃপক্ষ অর্থ দণ্ড কমিয়ে জরিমানা এক লাখ টাকা করার আদেশ দেয়। ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবির পক্ষে এক সম্পূরক আবেদন করা হয়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, আপিল কর্তৃপক্ষ অর্থদণ্ড কমানোর ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা ও বিবেচনা সঠিকভাবে প্রয়োগ করেনি। রুলে অর্থদণ্ড কমানোর বিষয়ে রায় কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালত আরেক আদেশে আপিলের নথি দাখিলের জন্য পরিবেশ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।