খুলনা ওয়াসার এমডির দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্ট; রিট (প্রতীকী ছবি)

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা বিচারকের শাস্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত এবং তাকে শপথ গ্রহণ করতে না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনারও আবেদন করা হয়েছে।

মো. মামুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কাজী আকবর আলী বুধবার (১৪ মে) হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী কাজী আকবর আলী জানান, “রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে এবং আইন মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিটটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে।”

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার আহ্বান জানিয়ে দুই নাগরিক মো. ইশরাক হোসেনের মেয়র ঘোষণা সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ ও শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান।

তবে, নোটিশ পাঠানোর পরই ওইদিন রাতেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে গেজেট আকারে ঘোষণা দেয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম একটি রায়ে সেই ফলাফল বাতিল করে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন।

এরপর ২২ এপ্রিল ইশরাককে গেজেট আকারে ঘোষণা দেওয়ার আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় ইসি। পরবর্তী সময়ে ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

রিটকারী পক্ষের দাবি, এই রায়ে আইনি প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা লঙ্ঘন হয়েছে, যা জনগণের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক ধারার পরিপন্থী।