মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে চারজন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন বিষয়ক-১) মোহাম্মদ দিদার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজারের ৪টি সংসদীয় আসনসহ দেশের মোট ৩০০টি সংসদীয় আসনে ৩০০ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কক্সবাজারের সংসদীয় আসনগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকরা হলেন— কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে চকরিয়া চৌকি আদালতের সিনিয়র সিভিল জজ আবদুর রহমান, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আশিকুর রহমান, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে কক্সবাজার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল কাদের, এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইকবাল হোসেন।
নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকগণ নির্বাচনপূর্ব অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি হিসেবে গণ্য হবেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নিয়োগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১এ ও ৯১এএ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকরা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম অনুসন্ধান করবেন।
পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৩, ৭৫, ৭৭ এবং ৯১বি (৩) ধারার আওতাধীন অপরাধসমূহের সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনা করবেন।
এছাড়া নির্বাচনে কোনো অনিয়ম সংঘটিত হলে বা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে তা তিন দিনের মধ্যে জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন।
প্রজ্ঞাপন জারির দিন ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।

