ইডেনের ছাত্রীকে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর যাবজ্জীবন

ইডেনের ছাত্রীকে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর যাবজ্জীবন

 

ইডেন কলেজের ছাত্রী শারমিন আক্তার ওরফে আঁখিকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করে রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মাসুম নামে একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আ.ন.ম আনোয়ার উল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনির হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দু’বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’

তিনি আরও বলেন,‘বিচারক রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘আসামিকে যে জরিমানা করা হয়েছে, তা মামলার ভিকটিম পাবেন।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ইডেন কলেজে যাওয়ার পথে চানখাঁরপুলের মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা পথরোধ করে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে আঁখি রাজি না হওয়ায় তার মাথায় ও মুখে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া, ছুরি দিয়ে আঁখির ডান হাতের কব্জি ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরে সেখানকার লোকজন আঁখিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। ওইদিনই আঁখির ছোট ভাই মহিউদ্দিন আহমেদ বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৩ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান এসিড অপরাধ দমন আইন ও দণ্ডবিধির ধারায় মনির ও মাসুমের নামে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।তদন্ত কর্মকর্তা ৩২ জনকে সাক্ষী করে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও বিভিন্ন সময় ২১ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।