৪২ খণ্ডের নতুন বাংলাদেশ কোড প্রধান বিচারপতির হাতে তুলে দেন আইনমন্ত্রী

বাংলাদেশ কোডের সর্বশেষ সংস্করণ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের হাতে তুলে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

এবার বাংলাদেশ কোড ৪২টি খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে এবং এগুলোতে ১৭৯৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রণীত সব রেগুলেশন, প্রেসিডেন্ট অর্ডার, আইন ও অধ্যাদেশ রয়েছে যার মোট সংখ্যা ১০৮৫টি।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের খাস কামরায় সদ্য প্রকাশিত ৪২ খণ্ডের বাংলাদেশ কোডটি প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের হাতে তুলে দেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

বাংলাদেশ লজ রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ধারা-৬ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রচলিত সব আইন কালানুক্রমিক ও ধারাবাহিকভাবে হালনাগাদ করে ‘বাংলাদেশ কোড’ আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ কোড প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে। ১৭৯৯ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত প্রণীত আইনসমূহের হালনাগাদ সংকলন করে ১১ খণ্ড আকারে এটি প্রকাশ করা হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও কানাডীয় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (সিডা) এর আর্থিক সহযোগিতায় লিগ্যাল রিফর্ম প্রজেক্টের আওতায় ২০০০ সাল থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ কোড আকারে সব আইন একত্রিত ও হাল নাগাদ করে সংকলনের কাজ। এ প্রজেক্টের আওতায় ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম সব আইন হালনাগাদ করে বাংলাদেশ কোড আকারে ৩৮ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৩ সালের শেষ দিকে ইউএনডিপির আর্থিক সহযোগিতায় আবারও বাংলাদেশ কোড হালনাগাদকরণের কাজ হাতে নেয়।

সর্বশেষ, ইউএনডিপির সঙ্গে সম্পাদিত প্রকল্প চুক্তি অনুযায়ী ১৭৯৯ থেকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত হালনাগাদ করে ৪২ খণ্ডে বাংলাদেশ কোড মুদ্রণ ও প্রকাশ করা হয়েছে।