‘রাষ্ট্র বনাম জাকারিয়া পিন্টু ও অন্যান্য’ মামলা: আগাম জামিনে আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গ
উচ্চ আদালত

মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল

তৃতীয় প্রফেশনাল থেকে পাস করার পর এক বছর পূর্ণ হলেই মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা দিতে পারবে মর্মে জারি করা সার্কুলার স্থগিত করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ আদেশের ফলে আগের নিয়মানুসারে দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষার পর এক বছর পূর্ণ না হলেও ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা দিতে বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ রোববার (২১ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদেস্যর আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর তৃতীয় প্রফেশনাল (বর্ষ) থেকে পাস করার পর এক বছর পূর্ণ হলেই কেবল মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ফাইনাল প্রফেশনালে পরীক্ষা দিতে পারবে মর্মে জারি করা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সার্কুলার স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ৩৬ জন রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আবদুন নূর দুলাল।

পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

২০১৬ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) এক সার্কুলালে বলা হয়, মেডিকেল শিক্ষার্থীরা তৃতীয় প্রফেশনালে পাস করার পর এক বছর পূর্ণ হলে তারপরই কেবল ফাইনাল প্রফেশনালে পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু তৃতীয় প্রফেশনালে যেসব শিক্ষার্থী দুই-একটি বিষয়ে পাস করতে পারেনি তারা পরে পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পর এক বছর পূর্ণ না হওয়ায় ২০১৬ সালের সার্কুলার অনুসারে তাদের পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল। এ শিক্ষার্থীরা ২০১৩-১৪ সালে ভর্তি হয়েছিলেন। আর এ সার্কুলার পুরনো ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬ মেডিকেল শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ওই সার্কুলারের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং এসব শিক্ষার্থী পূর্বের সার্কুলার অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে আদেশ দেন।

আইনজীবী আবদুন নুর দুলাল জানান, এ আদেশের ফলে বিএমডিসির ২০১২ সালের সার্কুলার অনুসারে সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষার পর এক বছর পূর্ণ না হলেও ফাইনাল প্রফেশনালের পরীক্ষা দিতে বাধা থাকল না।