‘রাষ্ট্র বনাম জাকারিয়া পিন্টু ও অন্যান্য’ মামলা: আগাম জামিনে আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গ
উচ্চ আদালত

বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ

‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শীর্ষক বিএনপির গঠনতন্ত্রে ৭ নম্বর ধারা বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সংশোধিত গঠনতন্ত্রে আপত্তি জানিয়ে জনৈক মোজাম্মেল হোসেনের করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইসিতে জমা দেওয়া বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ঢাকার মিরপুর-১৩ এর কাফরুলের বাসিন্দা ও বিএনপি সমর্থক পরিচয়দানকারী মো. মোজাম্মেল হোসেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

চলতি বছরের শুরুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার (সিইসি) কাছে সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দেয়।

বিএনপির গঠনতন্ত্রে ৭ নম্বর ধারায় ‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামে বলা আছে, ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।’ তাঁরা হলেন: (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি। (খ) দেউলিয়া, (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি, (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।

কে এম মাসুদ রুমি বলেন, এ প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর মোজাম্মেল হোসেন ওই সংশোধনী না আনার জন্য ইসিতে একটি আবেদন করেন। এরপর রিট করেন। এখন আজ আদালত মোজাম্মেল হোসেনের এ আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

রুলে দণ্ডিতরা পদে থাকতে পারবেন না সংশোধনীতে বাদ দেওয়া এমন বিধান কেন বেআইনি হবে না এবং সংবিধান ৬৬ (২) ঘ এর পরিপন্থি হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।