বগুড়ায় দরজা ভেঙ্গে গৃহবধূকে গণধর্ষণ

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি গ্রামে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত রোববার আদমদীঘি থানা মামলাটি নথিভুক্ত করে।

আসামিরা হলেন উপজেলার বানিয়াগাড়ী গ্রামের ইউনুছ আলী, ফারুক প্রাং ও জাহিদুল ইসলাম। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হননি।

এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ এক সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী ঢাকায় রিকশা চালান। তাঁদের একমাত্র ছেলেসন্তানকে নিয়ে গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন। এই প্রেক্ষাপটে আসামিরা নানা সময় গৃহবধূকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। একপর্যায়ে গৃহবধূ বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের জানান। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এর জেরে ৩০ মার্চ রাত পৌনে ১২টার সময় ইউনুছ, ফারুক ও ইসলাম দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে জিম্মি করেন। পরে তাঁরা গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। যাওয়ার সময় গৃহবধূর গলায় ও কানে থাকা সোনার অলংকার ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ৩ এপ্রিল বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, গত রোববার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।