বার কাউন্সিল অফিসের সামনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মানববন্ধন

নিয়মিত পরীক্ষাসহ ৫ দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মানববন্ধন

আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান ও দেশের আইন পেশার সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন, সময়মতো পরীক্ষাগ্রহণ, আদালতে তাদের মর্যাদা রক্ষা এবং উৎসব-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

রাজধানীর বাংলামোটরে বার কাউন্সিল অফিসের সামনে শনিবার (২৯ জুন) ‘বাংলাদেশ শিক্ষানবিশ আইনজীবী সমিতি’র ব্যানারে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বলেন, ২০১২ সালের আগে গড়ে আট মাস অন্তর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ২০১২ সাল থেকে দুই বছর পরপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে তাও অনিয়মিতভাবে।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ ছয় বছরে মাত্র তিনবার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে সনদদানকারী সংস্থাটি। এমন অবস্থায় ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ প্রতি বছর একটি পরীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।

তারা জানান, সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে বার কাউন্সিল এনরোলমেন্টের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই বছর অতিবাহিত হলেও পরবর্তী পরীক্ষার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা বার কাউন্সিল এখনও দেয়নি। ফলে বর্তমানে ৪০ হাজারেরও বেশি শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

মানববন্ধনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা জানান, নোয়াখালী, চাঁদপুর, নাটোর, দিনাজপুর জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন থেকে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রতি বিশেষ আদেশ জারি করায় দেশের সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবী আজ আতঙ্কিত। এ অবস্থায় মেধাবীরা আইনপেশার মতো একটি মহান পেশায় নিজেদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এমন অবস্থার দ্রুত নিরসন না হলে আইনপেশা শিগগিরই তার গৌরবময় ভাবমূর্তি হারাবে। তাই বার কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন, দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে এবং নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সকল উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাবে।

শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবিসমূহ

  • বছরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং এই বিষয়টি বার কাউন্সিল অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করা।
  • যেসব জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেগুলো বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা বারসমূহকে নির্দেশ প্রদান করা।
  • লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ওপর নাম ও রোল লেখার সনাতন পদ্ধতি বাতিল চালু করতে হবে।
  • শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের উৎসাহ-ভাতা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মর্যাদা নিশ্চিত করা।