সেমিনারে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার

চট্টগ্রামে এসসিএলএস -এর আয়োজনে ল’ লেকচার অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ভিত্তিক সংগঠন সোসাইটি ফর ক্রিটিকাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) আয়োজিত তৃতীয় এম আনোয়ারুল আজিম মেমোরিয়াল ল’ লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই বার্ষিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন খালেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এস আজিম, চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি এ এস এম বদরুল আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আয়ুব খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সেশন জাজ কোর্ট এর সহকারী পাব্লিক প্রসিকিউটর হোসাইন আল আশকারি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর সদস্য ও লিগ্যাল রিফর্ম কমিটির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রামের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদ, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি আবদুল মজিদ, সুপ্রিম কোর্ট এর আইনজীবী ও চুয়েলসার সভাপতি এডভোকেট বদরুল হুদা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় বিচারপতি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জুডিশিয়াল রিভিউ এর ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগের একটি ইনহ্যারেন্ট পাওয়ার। এর মাধ্যমে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগে তার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি কিভাবে সংক্ষুদ্ধ হয়েছেন। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি নিজের অধিকার এবং জনস্বার্থ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত অধ্যাপক ও সাবেক ডিন জনাব ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক।

সোসাইটি ফর ক্রিটিকাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) আয়োজিত তৃতীয় এম আনোয়ারুল আজিম মেমোরিয়াল ল’ লেকচার

অতিথি গণ তাদের বক্তব্যে এমন জ্ঞানগর্ভ মূলক এ ধরণের সেমিনার বারবার আয়োজন করার ব্যাপারে আয়োজকদের আহবান করেছেন।

উল্লেখ্য, সংগঠনটি জাতীয় পর্যায়ে ল’ অলিম্পিয়াড, মডেল ল’ কমিশন, ন্যাশনাল মুট কোর্ট কম্পিটিশন এর মতো প্রতিযোগিতা ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করে আসছে।