হাইকোর্ট এবং প্রয়াত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি
হাইকোর্ট এবং প্রয়াত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি

‘কোর্টের আগে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ পেলে জনমনে পারসেপশন তৈরি হয়’

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতের উপস্থাপনের আগেই গণমাধ্যমে কিভাবে প্রকাশ পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কোর্টে উপস্থাপনের আগে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ পেলে জনমনে এক ধরণের পারসেপশনের তৈরি হয়।

আজ বুধবার (৪ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ প্রশ্ন রাখেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতির প্রতিবেদন হাইকোর্টের উপস্থাপনের পর বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এ রিপোর্ট মিডিয়ায় কিভাবে গেল? হয় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় বা তদন্তসংস্থার কাছ থেকে এ রিপোর্ট ছুটেছে। কোর্টে উপস্থাপনের আগেই এভাবে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ পেলে জনমনে এক ধরণের পারসেপশনের তৈরি হয়।

এ পর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বলেন, আমি সাংবাদিক ছিলাম, আমি কাউকে কোন রিপোর্ট দেয়নি। যার কারণে আমার সাংবাদিক বন্ধুরা আমাকে দেখতে পারেন না।

এসময় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সাংবাদিকদের কাজই হল খবরের পেছনে ছুটা। তারা খবর সংগ্রহ করতে ছুটবেই। আমরা তো সাংবাদিকদের কোন দোষ খুঁজে পাচ্ছি না।

এরপর অমিত তালুকদার বলেন, এভাবে রিপোর্ট প্রকাশ আদালত অবমননার সামিল। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, সাংবাদিকরা রিপোর্ট পেলেই ছাপাবে এটাই স্বাভাবিক। যদি আপনি ওই রিপোর্টের সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনের মিল না থাকে তখন তাদের দোষারোপ বা ধরার সুযোগ থাকে।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম আরো বলেন, রিপোর্ট আদালতে দাখিলের আগেই যে সাংবাদিকদের হাতে গেছে দোষ তো কাউকে না কাউকে স্বীকার করতেই হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সাগর-রুনি হত্যা মামলায় র‌্যাবের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।