সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন

ভোট গ্রহণ শেষ; মোট ভোট পড়েছে ৫৯৪০, রাতেই গণনা

উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২০-২০২১ বর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটির দুইদিনব্যাপী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে আজ। ৭৭৮১ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিনে ৫৯৪০ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন বলে  ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য শামিম সরদার। তিনি আরও জানান, রাতেই ভোট গণনা শুরু হবে এবং গণনা শেষে ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে (১ সভাপতি, দুই জন সহসভাপতি, ১জন সম্পাদক, ১ জন ট্রেজারার, ২ জন সহসস্পাদক ও ৭জন সদস্য) মোট ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে এ এম আমিন উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান ও সাকিলা রওশন, সাধারণ সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. এনামুল হক, সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ফারুক। সদস্য পদে মো. হুমায়ুন কবির, মো. কামরুজ্জামান, মো. সাফায়েত হোসেন (সজীব), মো. তারজেল হোসেন, মিন্টু কুমার মণ্ডল, মোহাম্মদ মশিউর রহমান ও মোহাম্মদ জগলুল কবির।

বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে (নীল প্যানেল) প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে জয়নুল আবেদীন, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও মো. জালাল উদ্দিন, সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, কোষাধ্যক্ষ রাগীব রউফ চৌধুরী, সহ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান ও আইয়ুব আলী আশ্রাফী। সদস্য আমিরুল ইসলাম (খোকন), মার-ই-আম খন্দকার, মোহাম্মদ মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম (টুটুল), মো. শফিউর রহমান, মোহাম্মদ মহসিন কবির, মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন (রতন) ও মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

এই দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে ইউনুছ আলী আকন্দ, সহ-সম্পাদক পদে ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া ও সদস্য পদে তপন কুমার দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সাত সদস্যের নির্বাচন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা হলেন, মো. জসীম উদ্দিন, শরীফ ইউ আহমেদ, মুহাম্মদ সালেহ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ ভূঁইয়া (বিএম ইলিয়াছ কচি), মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ আশরাফ উজ জামান খান।

উল্লেখ্য, গত বার সুপ্রীমকোর্ট বার সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদসহ ছয়টি পদ পেয়েছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ৮টি পদ পেয়েছিল বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল।