সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালি : ইউএনও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট
উচ্চ আদালত

হাইকোর্টে জামিন পেলেন সুনামগঞ্জের শাল্লার সেই ঝুমন দাশ

হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতার সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাশকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে আদালত বলেন, তাকে এক বছরের জন্য জামিন দেওয়া হলো। এসময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, এমনকি আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি সুনামগঞ্জের বাইরেও যেতে পারবেন না।

আদালতে এদিন জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলতানা যুথি ও মো. আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

এর আগে মঙ্গলবার ঝুমন দাশের জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি শেষ করে আদেশের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

এর আগে গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতে ইসলাম শানে রিসালাত নামে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঝুমন দাশ নামে এক তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তা হেফাজতের দৃষ্টিতে আপত্তিকর মনে হয়। তারা পরদিন এর প্রতিবাদে সমাবেশও করে। ওই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

পরে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমন দাশকে আটক করা হয় ও তার বিরুদ্ধে শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল করিম বাদী হয়ে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ৩ আগস্ট নিম্ন আদালতে খারিজের পর গত ২২ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।