সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে
সংসদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (ইনসেটে)। ছবি: পুরনো

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাবের বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের আচরণ বিষয়ক বিধিমালা হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ৷

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয় ৷ এ সময় সভাপতিত্ব করেন৷ প্রশ্ন উত্তর পর্বে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান৷

প্রশ্নে শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানতে চান, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদের হিসাব এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণে সরকারের অনুমতি নেওয়ার শর্ত সংযোজনপূর্বক অবিলম্বে আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯ হালনাগাদ করা হবে কি না; না হলে, এর কারণ কী এবং এ বিধি অমান্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে কি না; না হলে, এর কারণ কী?

উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর আলোকে প্রস্তাবিত খসড়া সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২’ প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের লক্ষ্যে ০১-০৩-২০২২ তারিখে সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল এবং নাগরিকত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়টি উক্ত আচরণ বিধিমালায় পূর্ব থেকেই সংযোজিত রয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়া আচরণ বিধিমালায় তা যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিধি অমান্যকরণে বিধিমালায় শাস্তির ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে শূন্যপদের সংখ্যা তিন লাখ ৯২ হাজার ১১৭ জন।

এছাড়া ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন জানান, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিসিএস’র মাধ্যমে ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। এসময়ে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির (১০-১২তম গ্রেড) সাত হাজার ১৬১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার প্রেক্ষিতে কর্ম কমিশন ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেড চার হাজার ৬৫৮ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ৪২ হাজার ৪০জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বলেও জানান তিনি।