বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া - ফাইল ছবি

ষষ্ঠ দিনেও শেষ হয়নি খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন

আত্মপক্ষ সমর্থনে ছয় দিন আদালতে গিয়েও কথা শেষ হয়নি খালেদা জিয়ার। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ৩০ নভেম্বর সপ্তম দিনের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক অসমাপ্ত বক্তব্য নেবেন বিশেষ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়ার করা স্থায়ী জামিনের আবেদন নাকচ করে এই তারিখ দেওয়া হয়।

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও হাজিরা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। হাজিরায় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আদালতের পুশ্নের মুখে তিনি আরো জানান, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের প্রয়োজনে তিনি আদালতে কাগজপত্র জমা দেবেন এবং প্রয়োজনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্যও দেবেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দু’টি মামলারই প্রধান আসামি তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে রয়েছেন।

অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়।

আর ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।

জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম