বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলছে কিনা জানা যাবে মঙ্গলবার

জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া রাজধানীর ধানমন্ডি ও গুলশানের লেকহেড স্কুলের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত ৬ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব সালমা জাহান গত বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্কুলটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিলো। তদন্তের পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

স্কুলটির কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান যুগ্ম সচিব।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি ও গুলশানে অবস্থিত লেকহেড গ্রামার স্কুলটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় এবং ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা দেওয়া, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতাসহ জাতীয়/স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এরপর স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিট করেন।পরে স্কুলটির কার্যক্রম বন্ধের পর এ সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড স্কুলের মালিককে স্কুলটি খোলা ও পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে গত ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের রিট আবেদনে প্রেক্ষিতে ওই রুল জারি করা হয়।

এরপর ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।আপিল বিভাগ ১৯ নভেম্বর স্কুলের কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কি-না, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ।

সে অনুসারে গত বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেছেন, রিপোর্টটি এসে পৌঁছেছে। তারা এটা দেখার সুযোগ পাননি। দেখে এ বিষয়ে শুনানি করবেন। তখন আদালত তাদের একদিন সময় দেন। বিষয়টি আবার রোববার (৩ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ। সে অনুসারে রোববার আপিল বিভাগে শুনানি হয়।

ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেল স্কুলের ম্যানেজমেন্ট এবং শিক্ষক শিক্ষিকার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। আমরাও গত বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিবেদনে কি আছে আমরা জানি না।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ (ম্যানেজমেন্ট) ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যাবতীয় তথ্য সুপ্রিম কোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম