বিচারক সংকটে ভুগছে বরিশালের আদালতগুলো, ভোগান্তিতে জনগণ

বিচারক সংকটে ভুগছে বরিশালের আদালতগুলো। এতে মামলার জট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা। এ অবস্থায় বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে বিচারক নিয়োগ জরুরি বলে মনে করেন জেলার জিপি ও পিপি। আইনজীবী সমিতির সম্পাদক সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

বরিশালের বিভিন্ন আদালতে বিচারকদের মোট পদের সংখ্যা ৪৯ টি। এরমধ্যে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী জজ পদের চারটি শূন্য। চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিট্রেট আদালতের ১১ পদের শূন্য চারটি। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৫ পদের শূন্য একটি। এছাড়াও বিভাগীয় স্পেশাল ট্রাইবুনাল, জনরিাপত্তা বিঘ্নকারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের জেলা জজ পদমর্যাদার চারটি পদ শূন্য। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা।

‘দ্রুত বিচারে একটি মামলা আছে। ওই কোর্টে জজ সাহেব না থাকার কারণে আমরা জামিনে জন্য আবেদন করবো, সেটাও করতে পারছি না,’ বলেন ভুক্তভোগীদের একজন।

আরেকজনের অভিযোগ আরও গুরুতর। তিনি বলেন, ‘২৭ বছর যাবত জমির একটা মামলা নিয়ে আমি খুব হয়রান হয়ে গেছি।’

মামলার সুরাহা না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন বরেও জানান অনেকে।

এদিকে বিচারব্যবস্থার উপর বিচার প্রার্থীদের আস্থা রাখতে বিচারক নিয়োগ জরুরী বলে মনে করেন বরিশালের জেলা জজ আদালতের গ্ল্যাডিয়েটর প্রসিকিউটর মুহম্মদ ইসমাইল হোসেন নেগবান।

তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে বিচারক নিয়োগ দিতে হবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে মানুষ একসময় বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে।’

জেলা জজ আদালতের পিপি মো. গিয়াস উদ্দিন কাবুল বলেন, ‘আরেকটু বেশি জোরে তাগিদ দেয় যদি মহামান্য হাইকোর্ট থেকে তাহলে আমার মনে হয় আমাদের যে লোয়ার জুডিশিয়ারি যেসব কর্মকর্তারা আছেন, তা এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হবেন।’

এ অবস্থায় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. মোখলেচুর রহমান বাচ্চু দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি এটার সমাধান অতি দ্রুত না হয়, তাহলে সাধারণ বিচার পাড়াতে জনগণ কঠিন ভোগান্তির শিকার হবে।’

বরিমালের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪২ হাজার ৯৮১। এরমধ্যে দেওয়ানি মামলা ২৩ হাজার ৭৪৪ এবং ফৌজদারী মামলা ১৯ হাজার ২৩৭ টি।

(ফিরদাউস সোহাগ/সময় নিউজ)