বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (ফাইল ছবি)

নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মওদুদের

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতি প্রার্থনা করেছেন।

আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতের নয় নম্বর বিশেষ জজ মাহামুদুল কবীরের আদালতে মওদুদ এ দাবি করেন।

এদিকে মামলাটির প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় তার পক্ষে আগামী ১১ মার্চ অব্যাহতির আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) এসএসসি পরীক্ষা থাকায় পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তিনি আদালতে আসেননি। তাই আরেকটি ডেট (তারিখ) দিলে তিনি ওইদিন আদালতে আসবেন। শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১১ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।’

অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের আংশিক শুনানিতে মাওদুদ আহমদ বলেন, মামলাটিতে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুধু মাত্র হয়রানি করার জন্য তাকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। মামলাটিতে তাকে নাইকো রিসোর্সের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দেখানো হলেও তা সঠিক নয়। তার নাইকোর সঙ্গে কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তাই তিনি অব্যাহতি পাওয়ার হকদার।

নাইকো মামলাটিতে এর মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।

মামলার অপর তিন আসামী নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক পলাতক রয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রীট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নি¤œ আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারী করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম হাইকোর্ট থেকে জামিন পান খালেদা জিয়া।

জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম