কারাগারে বন্দি খালেদার সাক্ষাৎ না পেয়ে ফিরে গেলেন আইনজীবীরা

কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়ার শারীরিক এবং সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাকে ডিভিশন দেওয়ার আবেদন নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সাক্ষাৎ পাননি তার আইনজীবীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে কারা ফটকে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও এসএম জুলফিকার। তবে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করে কোনো কর্মকর্তার অনুমতি পাননি তারা। পাননি সাক্ষাৎও। পরে বাধ্য হয়ে ফিরে যান তারা।

ফিরে যাওয়ার সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, ২ ঘণ্টা ৭ মিনিট ঘুরেও কারো সাক্ষাৎ পেলাম না। ঠিক কী কারণে তারা (কারা কর্তৃপক্ষ) সাক্ষাৎ করলেন না। অনুমতিও দিলেন না, তা জানি না। হয়তো তারা ভয় পেয়েছেন!’

খোকন বলেন, ‘আমরা প্রথমে জেলগেটে যাই। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আমাদের ভেতরে যেতে দেননি। তারা কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু যোগাযোগ করেও কারাগারের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে আমরা কারা ফটক থেকে কারা অধিদফতরে যাই। ২৪ ঘণ্টা ডিউটিতে কারো না কারো থাকার কথা। কিন্তু আমরা কাউকে পেলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য কাউকে পাব না, এটা কেমন কথা? গতকাল কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারাই আসতে বলেছিলেন। এখন কেউ ফোন ধরছেন না, খবর পাঠিয়েও কারও সাক্ষাৎ পাচ্ছি না। এটা খুবই দুঃখজনক।’

আবেদনপত্র দেখিয়ে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘এই যে দেখেন, কী আবেদনপত্র জমা দিতে আমরা এসেছিলাম। তাদের তো ভয়ের কিছু নেই। খালেদা জিয়া সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তিনবারের বিরোধীদলীয় নেতা, তার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি। তার জন্য ডিভিশনের সব সুবিধা প্রাপ্য। তাছাড়া তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার হাঁটুতে ২ বার অপারেশন হয়েছে। তার জন্য আলাদা প্রফেশনাল চিকিৎসক দরকার। দরকার হাইজেনিক ওয়াশরুম। এসব চেয়েই আবেদন ছিল আমাদের।’

‘আজ আমরা ফিরে যাচ্ছি। কাল (শনিবার) আমরা আবার আসবো। আগামীকাল আবেদনপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করব।’ -বলেন তিনি।

এর আগে আজ (শুক্রবার) বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তার মেজ বোন সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এ সময় তাদের সঙ্গে শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তাদের ছেলে ফায়েক ইস্কান্দারও উপস্থিত ছিলেন।