বাসা-বাড়িতে মশার ‘প্রজননকেন্দ্র’ মিললেই মালিককে জেল-জরিমানা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আওতাধীন যেসব বাড়িতে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র কিংবা লার্ভা পাওয়া যাবে, ওইসব বাসার মালিককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।

আজ সোমবার (১৯ মার্চ) ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ কর্মসূচির আওতায় চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ এবং এডিস মশক নিধনে করণীয় নির্ধারণে নগর ভবনের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জনান তিনি।

মেয়র বলেন, আমরা আগামীকাল গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবো। সব নাগরিক যেন তার বাসা পরিচ্ছন্ন রাখেন। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো আমরা।

তিনি বলেন, যেসব ভবনে এডিসের প্রজনন ক্ষেত্র কিংবা লার্ভা পাওয়া যাবে, ওইসব বাসার মালিককে অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ডিএসসিসির আইন ২৬৯-৭০ অনুযায়ী এই জরিমানা করা হবে। আমরা সবাইকে নোটিশ দেব। আপনারা নাগরিকরা অনুগ্রহ করে বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখবেন।

মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মশা নিধনে দুই সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন কাজ করছে। কিন্তু এই কাজগুলো সঠিকভাবে চলছে কি না সেজন্য মনিটরিং সেল করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিও নিতে হবে। চলতি বছর ডেঙ্গুর বেশি আশঙ্কা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আমি মশা মারবো, প্রতিবেশি মারবে না, তাহলে লাভ হবে না। তাই সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারি অফিসসহ সবার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতে হবে- যদি কারো ছাদে অপরিষ্কার পানি পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চত করতে হবে।

বিএসআরআইয়ের পিএসও ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, ঢাকার অনেক ফাস্ট ফুডে অ্যারোসল ব্যবহৃত হয়। এই বিষয়টি দেখার জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মশা যেখানে ডিম পাড়ে সেখানেই মরণফাঁদ তৈরি করতে হবে।

সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিল্লাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জোনারেল সালাহউদ্দিন ও আইডিসিআরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুজহাত নাসরীনসহ অন্য কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ অভিযান চালাচ্ছে ডিএসসিসি। গত ১৭ মার্চ থেকে যা শুরু হয়েছে।