জামিন জালিয়াতি : এক আইনজীবীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি (প্রতীকী ছবি)

হাইকোর্টের নামে ভুয়া আদেশ তৈরি: ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রামপুর কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির ১২ সদস্যের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। কথিত সমবায় সমিতির সাইনবোর্ড দিয়ে সরকারি জমি দখল, সরকারের বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হাইকোর্টের নামে ভুয়া ও জাল আদেশপত্র তৈরি করার অপরাধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ পরোয়ানা জারি করেছেন।

জালিয়াতির অপরাধে কথিত সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম লিটন ও আক্কাস আহমদসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে এর আগে তদন্ত শুরু করে দূর্নীতি দমন কমিশন। পাশাপাশি সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অপরাধে উক্ত সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে সদস্যদের আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- রামপুর কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির কর্মকর্তা আবু জাফর, আমির হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মো. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, জয়নাল আবেদীন, মো. শাহজাহান, নুরুল কামাল, আহমদ কবির, বদিউল আলম ও আবুহেনা মোস্তফা হানিফ। আসামিদের গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা মত্স্য কর্মকর্তা ড. মো. আবদুল আলীম। আবেদনের অনুলিপি মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১৩টি দফতরে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারের সাবেক জেলা মত্স্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন জানান, অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল, সন্ত্রাসী তত্পরতা, সরকারের বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরসহ ইত্যাদি সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হাইকোর্টের নামে ভুয়া ও জাল আদেশপত্র সৃজনের কারণে ‘রামপুর সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতি’র নিবন্ধন বাতিল, সমিতির সকল কার্যকলাপ অবৈধ ঘোষণা এবং উক্ত সমিতির সদস্যদের আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করে জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে অফিসিয়াল চিঠি দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে সমিতির সদস্যদের বিরূদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবদুল আলীম।

কক্সবাজার জেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য চকরিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর উক্ত সমবায় সমিতির বিরূদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে রামপুর কৃষি উপনিবেশ ও সমবায় সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম লিটন বলেন, আমাদের জমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশ জালিয়াতি, এ ব্যাপারে দুদকের মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি পরে ফোন করতে বলেন।