সরকার যেকোনো উপায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকার যেকোনও উপায়ে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে চাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মে) কুমিল্লার দুই মামলায় আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতাদেশের পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অতীতে এমনটি আমরা দেখিনি, হাইকোর্ট মেরিটে বেইল কনসিডার (জামিন) দিলেও সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) এটায় হস্তক্ষেপ করেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা চলতে পারে না। যেহেতু ওয়ারেন্ট (কুমিল্লার দুই মামলায়) হয়েছে, সেহেতু আমরা আবেদন করেছি। আদালত আমাদের জামিন দিয়েছে। আমরা সেই জামিনটা বহাল রাখার জন্য বলেছি (আপিল বিভাগে)।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে সরকার উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন জেলে রাখতে চায়। যেহেতু ইতোমধ্যে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা হবে, এটা সরকারও জানে। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এখন আমরা চাচ্ছি, ন্যায়নীতির ,মাধ্যমে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে বের করে আনবো। আর সরকার চাচ্ছে, যেকোনও উপায়ে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে হবে, কারাবন্দি রাখতে হবে। যে মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট) হয়েছে, সে মামলায় আমরা জামিন পেয়েছি।’
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, দেশের আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। আমরা আদালতে বলেছিলাম, অতীতে এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বৈষম্যমূলকভাবে খালেদা জিয়ার আপিলটি (কুমিল্লার দুই মামলায় জামিন স্থগিতের আপিল) নিয়ে এসেছেন।’
প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মে) সকালে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন আদেশ আপিল বিভাগে স্থগিত রাখা হয়। একইসঙ্গে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ জুন দিন নির্ধারণ করেন আদালত। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল (লিভ টু আপিল) আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।