ভারতীয় তরুণীর যৌতুক মামলায় বাংলাদেশি যুবক কারাগারে
কারাগার (প্রতীকী ছবি)

সীমান্তে আত্মহত্যা করতে গিয়ে ঠাঁই হলো কারাগারে

স্বপ্নভঙ্গ হলে মানুষ কত কিছুই না করে। কেউ নিজেকে একেবারেই একঘরে করে রাখেন। কেউবা বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে তেমনই এক পথ বেছে নেন পাকিস্তানের মহম্মদ আসিফ (৩২) নামের এক যুবক। রমজান মাসে আত্মহত্যা করা ঠিক হবে না ভেবে তিনি সীমান্তে গিয়েছিলেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মরতে। কিন্তু তার সে আশা তো পূরণ হলোই না, উল্টো ঠাঁই হলো জেলে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাসুর জেলার জাল্লোকে গ্রামের আসিফ বড় ভাই আতিক-উর-রহমানের শ্যালিকাকে ভালবাসতেন। দুজনেই বিয়েতে রাজি হন। কিন্তু বাধ সাধে দুজনের পরিবার। তারা ওদের সম্পর্কই মানতে রাজি হয়নি। এর মধ্যে দাদার শ্যালিকাকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই ডিভোর্স হয় তার।

আসিফ বলেন, এবার তো ওকে বিয়ে করতে পারি। কিন্তু ফের নাকচ হয়ে যায় সেই প্রস্তাব।

শেষ পর্যন্ত প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে চরম হতাশায় ভোগেন আসিফ। তিনি ভেবেছিলেন, এ জীবন রেখে আর কি হবে?

এর পর প্রথমে আসিফ ঠিক করেন, তিনি গলায় দড়ি দেবেন। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে তা উচিত হবে না বলে মনে করে সেই ভাবনা ত্যাগ করেন। শেষে ঠিক করেন, ভারত সীমান্তে যাবেন, সেখানে বিএসএফ জওয়ানদের বুলেটে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গেলেই যন্ত্রণার অবসান হবে। তাই ভারত সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

কিন্তু সেও গুঁড়েবালি। গত সোমবার বিএসএফের ১১৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাকে আটক পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আসিফের ঠাঁই হয়েছে এখন জেলে।

পাঞ্জাবের মামদোত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রশপাল সিংহ জানান, ধনী ঘরের ছেলে আসিফ প্রায় ২৫ একর জমির মালিক। সিনিয়র সেকেন্ডারি পরীক্ষায় পাশও করেছেন। তাকে ভারতীয় পাসপোর্ট আইন ও বিদেশি আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।