উচ্চ আদালত

গাজীপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে রিট

গাজীপুরে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা চেয়ে আজ সোমবার (২৫ জুন) হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।

সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত তালুকদার গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

রিটে গ্রেফতার সংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা ভঙ্গ করে গাজীপুরে গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশনা চেয়েছেন। একই সঙ্গে রিটে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গাজীপুরের বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক, ভোটের প্রচারণাকারীদের গণগ্রেফতার, হয়রানি করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে।

এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক, গাজীপরের পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকে বিবাদী করা হয়েছে।

আজই (সোমবার) হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে।

হাসান সরকার অভিযোগে করে বলছেন, গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা আইনসম্মত নয় এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে এটা করা হচ্ছে। তারা আইন মানছেন না। এ আইন অমান্য ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা রিট ফাইল করেছি।

এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রোববার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে এসে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সকল দল এবং প্রার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, পুলিশ বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার-হয়রানিসহ কতিপয় অভিযোগ উত্থাপন করেন। সেগুলোর প্রতিকারের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর একটি আবেদন করেছেন।

উল্লেখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ অবস্থায় নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনো বাসিন্দা বা কোনো ভোটারকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার না করার জন্য নিদের্শ প্রদান করা হয়।