মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে দুদকের হানা

সরকারি স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রেখে বেসরকারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

আজ রোববার সকাল ১১টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত হটলাইনে (১০৬) আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।

দুদক দাবি করে, প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশসহ পাঁচ সদস্যের একটি দল স্যালাইন উৎপাদনকারী ওই সরকারি প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে ভয়াবহ অনিয়মের সন্ধান পান।

দুদক সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে গত এক বছরে স্যালাইন উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কাঁচামাল ক্রয় বন্ধ রাখায় স্যালাইন উৎপাদন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রেখে বেসরকারি স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবসা চাঙ্গা করার সুযোগ দেন প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তা।

অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ জানান, কাঁচামাল কিনতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে উৎপাদন বন্ধ রাখায় গত অর্থবছরে এ প্রতিষ্ঠানের বাজেটের ৮ কোটি টাকা ফেরত গিয়েছে।

অভিযান পরিচালনাকারী দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়কারী (মহাপরিচালক প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলেও কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। অবিলম্বে এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোচরে আনা হবে। কোনো যৌক্তিক কারণ ও ভিত্তি ছাড়া উৎপাদন বন্ধ রাখাও এক ধরনের দুর্নীতি।