কারাগারে ৬ মাস কাটল খালেদা জিয়ার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে ছয় মাস পার করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৬টি মামলার মধ্যে তিনটির জামিন এখনো বাকি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তার জামিন না পাওয়ার আশঙ্কার কথাও বলছেন নেতাকর্মীরা। শীর্ষ নেতারা জানান, নির্জন কারাগারে ভালো নেই বেগম জিয়া। নানা রোগে ভুগছেন।

চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তার পর থেকে নির্জন কারাগারে অন্তরীণ তিনি। মুক্তির দাবিতে তার দল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে আসছে।

কিছুদিন পর ঈদুল আজহা। এর মধ্যে বাকি মামলায় জামিন না পেলে কারাগারে ঈদ করতে হবে তাকে। রোজার ঈদও কেটেছে কারাগারে। দলের নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কয়েকটি কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে ঈদের পর কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনাও আছে দলটির। খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় গত ৭ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিএনপি তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছে। ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র, চোখ ও হাঁটুর সমস্যা রয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচন একতরফা করতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় তার নেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ হলেও তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

খালেদা জিয়ার মামলার সর্বশেষ অবস্থা প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ৩৬টি মামলার মধ্যে ৩৩টিতে জামিনে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। কুমিল্লা, নড়াইল ও ঢাকার তিনটি মামলার জামিন বাকি আছে।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেগম জিয়ার আরও আগেই কারামুক্তির কথা ছিল। কারণ গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেও সরকার খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ করেন, যাতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন- এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা পড়েন তিনি। ইবাদত-বন্দেগি ও বই পড়ে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও দলের নেতারা। আমাদের সময়