দ্বিতীয় ধাপে ২৭ জেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু

জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ধাপে ২৭ জেলার ভোটাররা স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন।

আজ বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

ভিডিও কনফারেন্সিং হয় কেবল ৮টি জেলায়। এগুলো হলো-ময়মনসিংহ, ভোলা, চাঁদপুর, নওগাঁ, যশোর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও মাদারীপুর।

২৭টি জেলা সদরের ভোটাররাই প্রথমে পাচ্ছেন স্মার্টকার্ড। তারপর পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট জেলার অন্য উপজেলা গুলোর দিকে অগ্রসর হবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

যে ২৭টি উপজেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হল, এগুলো হলো-মানিকগঞ্জ সদর, মুন্সিগঞ্জ সদর, নরসিংদী সদর, শেরপুর সদর, জামালপুর সদর, ময়মনসিংহ সদর, টাঙ্গাইল সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, লক্ষ্মীপুর সদর, চাঁদপুর সদর, ফেনী সদর, নাটোর সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, সিরাজগঞ্জ সদর, নওগাঁ সদর, চুয়াডাঙ্গা সদর, মাগুরা সদর, ঝিনাইদহ সদর, সাতক্ষীরা সদর, কুষ্টিয়া সদর, যশোর সদর, রাজবাড়ী সদর, মাদারীপুর সদর, ফরিদপুরের ভাংগা, ভোলা সদর, ও মৌলভীবাজার সদর।

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে স্মার্টকার্ড বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়। গত ১ ডিসেম্বর জেলা পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। সে সময় ৩৭টি জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিইসি।

২০১১ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তখন করা ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৪ কোটির স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করে বিতরণের প্রক্রিয়ায় রেখেছে ইসি। এখনো ৫ কোটি স্মার্টকার্ড উৎপাদন অবশিষ্ট রয়েছে। এ বছরের মধ্যেই সেই ৯ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়ার ঘোষণা ছিল ইসির। কিন্তু মেশিন সচল থাকা সত্ত্বেও স্মার্টকার্ড উৎপাদন বন্ধ রেখেছে সংস্থাটি।

বর্তমানে ভোটার সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটির মতো। সেই হিসেবে আরও দেড় কোটি ভোটারের স্মার্টকার্ড তৈরি করতে হবে। নির্বাচন কমিশন এজন্য আলাদা একটি প্রকল্প থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।